লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীনের মনোনয়ন বাতিল করেছিল রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে তিনি জেলা আপিল কর্মকর্তার কাছে আপিল করেন। সেখানেও আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত রোববার, ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন শাহীন।
তবে মঙ্গলবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানিকালে মামলার নথি উপস্থাপন করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
শাহীনের আইনজীবী মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী রাতদিননিউজকে জানান, আদালত ওই কর্মকর্তাদের প্রতি অসেন্তাষ প্রকাশ করে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেন।
আদালত এ সময় সেকশন কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ও রাশেদকে ডেকে এনে দুপুর ২টার মধ্যে মামলার ফাইল উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশ দেন। পরে ‘খোয়া’ যাওয়া সেই ফাইল পাওয়া গেছে বলে বিকেলে জানিয়েছেন মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী।
বিকাল চারটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আপিলের শুনানী হয়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে যুগান্তর অনলাইনের খবরে বলা হয়, গতকাল সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকায় আসে মামলাটি। কিন্তু মামলার নম্বর ভুল হওয়ায় ওই দিন শুনানি হয়নি। আজ মঙ্গলবার কার্যতালিকায় মামলাটি ১৫ নম্বর আইটেম হিসেবে রাখা হয়েছিল।
জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন শাহীন। কিন্তু আবেদনপত্রে ভোটারদের স্বাক্ষরসংক্রান্ত জটিলতার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন তিনি। সেখানেও তার আপিল বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এবি/রাতদিন