রংপুরের পীরগঞ্জে একটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষকে সরিয়ে দখল নিয়ে কৃষিজ পন্য রাখায় তা আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে আশ্রয় কেন্দ্রটির ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামালের ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
গত বৃহষ্পতিবার, ১১ জুলাই মধ্যরাতে উপজেলার চতরা ইউনিয়নের অনন্তপুরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। দমকল বাহিনী ৪ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
জানা গেছে, বন্যার্তদের রক্ষায় করতোয়া নদীপাড়ের পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান করা হয়। কিন্তু তদারকীর অভাবে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো স্থানীয় অপরাধী এবং প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে ব্যবসায়ের গুদামঘর, কোচো কম্পোস্ট সার তৈরীর কারখানা, কেজি স্কুল এবং অন্যান্য মালামাল রাখে।
এরমধ্যে অনন্তপুরে স্থাপিত ১নং আশ্রয় কেন্দ্রটি অনন্তপুরের প্রভাবশালী কবিরুল, মিঠু মিয়া, খুশী ও মেহের আলী স্থানীয় অপরপক্ষকে সম্প্রতি জোরপুর্বক সরিয়ে দিয়ে দখলে নেয়। এরপর সেখানে জুয়ার আসর এবং মাদক সেবনের আস্তানা গড়ে তোলা হয়। কেন্দ্রটির কিছু অংশে শতাধিক মন ধান এবং গবাদি পশুর খাবারের খড় রাখে।
গত বৃহষ্পতিবার মধ্য রাতে কে বা কারা কেন্দ্রটি ভিতরে জানালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে কেন্দ্রটির দরজা, জানালা, টীন এবং ধান ও খড়গুলো সম্পুর্ন পুড়ে ভষ্মীভুত হয়। এ সময় উপজেলা সদর থেকে দমকল বাহিনী প্রায় ১৬ কিমি দুরে ওই স্থানে গিয়ে ৪ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
তাৎক্ষনিকভাবে চতরা ইউপির চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর বেহালদশা। অথচ উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (পিআইও) কোনভাবেই এগুলো পরিদর্শন বা নিয়ন্ত্রনে নেন না।
পিআইও মিজানুর রহমানকে মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
শুক্রবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পিআইও’র দফতর থেকে কেউই ঘটনাস্থলে না পৌছায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।
জেএম/রাতদিন