ছয় বছর আগে বাড়ী থেকে পালিয়ে গিয়েছিলো তন্বী। ভালবেসে বিয়ে করেছিলো ওয়াহিদুজ্জামানকে। তিন বছরের মাথায় কোল জুড়ে আসে এক পুত্র সন্তান, তামিম। অবশেষে স্বামীর দেয়া আগুনেই পুড়ে মরতে হলো তন্বীকে। আর মাকে বাঁচাতে অগ্নিদগ্ধ হলো তামিম। অভিযোগ এমনটাই।
রোববার, ৫ মে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তন্বী। রমেক-এর ডা. রুপশ্রী পালবৌ জানান, তার শরীরের শতভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
এর আগে গত বুধবার রাতে অগ্নিদগ্ধ তন্বীকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
মৃত তন্বী আক্তার (২২) মিঠাপুকুরের কাফরিখাল ইউনিয়নের যাদবপুরে গ্রামের বাসিন্দা ছিলো।
মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী জানান, তন্বীর শরীরে আগুন দেওয়ার অভিযোগে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার আসামি ওয়াহেদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মাকে বাঁচাতে গিয়ে তন্বীর তিন বছরের ছেলে তামিমও দগ্ধ হয়েছে। তাকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
যদিও তন্বীর শাশুড়ি রওশন আরার দাবী, পারিবারিক কলহের জেরে তার ছেলের বৌ নিজেই শরীরে ডিজেল দিয়ে আগুন দিয়েছে।
তন্বীর মা শাহনাজ জানান, বিয়ের পর থেকে মেয়ের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ ছিলো না।
এসকে/রাতদিন