ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচিতে টানা জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে হাঁপিয়ে উঠছেন ক্রিকেটাররা। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শেষ হতে না হতেই জিম্বাবুয়ের বিমান ধরতে হবে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের। খবর ছড়িয়েছে, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজে সিনিয়র কয়েকজন ক্রিকেটার ছুটি নিতে চান। তবে খেলোয়াড়দের ছুটি দেওয়ার পক্ষে কোনও ভাবনা নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। কয়েক ম্যাচের জন্য মিলতে পারে বিশ্রাম।
আজ (শনিবার) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রথমত জিম্বাবুয়ের মাটিতে জিম্বাবুয়ে সহজ প্রতিপক্ষ না, বাংলাদেশের মাটিতে হলে বলতাম তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ। জিম্বাবুয়েতে জিম্বাবুয়ে কখনোই সহজ প্রতিপক্ষ না। আমি কোনভাবেই এর (ছুটির) সাথে একমত না।’
তবে রাজ্জাক জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের ছুটি চাওয়ার বিষয়টি জানা নেই তার। রাজ্জাক বলেন, ‘আমার জানা মতে, আমি এখনো জানি না কেউ বলছে যে আমি থাকতে পারবো না। এখনো কেউ বলেনি।’
পরিবার ছেড়ে দীর্ঘদিন সুরক্ষা বলয়ে থাকতে চান না কেউই। এবার ডিপিএলে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের পরিবার নিয়ে থাকার অনুমতি দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। বিদেশ সফরে পরিবার সঙ্গে রাখার অনুমতি পেয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররাও কি এমন সুবিধা পাবেন আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরে?
রাজ্জাক জানালেন, সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি। তবে ছুটি না পেলেও ম্যাচের গুরুত্ব বুঝে বিশ্রাম দেওয়া হবে ক্রিকেটারদের। রাজ্জাকের বলেন, ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল এখন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা। যারা জাতীয় দলে নিয়মিত, তাদের কথা একটু মনযোগ দিয়ে চিন্তা করেন, তারা কতদিন বাইরে। হিসেব করে দেখেন আসলেই কঠিন।’
সঙ্গে যোগ করেন রাজ্জাক, ‘আমরা শুধু পারফরম্যান্স দেখতে চেষ্টা করি। কিন্তু এটাও বিবেচনায় রাখা উচিৎ, যারা ক্রিকেট নিয়ে কথা বলে তাদের এসব হিসেব করা উচিৎ। কারণ খুবই স্বাভাবিকভাবে এরকম একটা চিন্তা করা হচ্ছে যেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিশ্রাম দেওয়া, আরেকটা জিনিস হলো বোর্ড যদি অনুমতি দেয় করে পরিবার সঙ্গে রাখার।’
এনএ/রাতদিন