রংপুরের পীরগঞ্জে গত ১৯ দিন ধরে ইউএনও নেই। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও বেগম ওয়াহিদা খানম দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হওয়ায় তার স্বামী পীরগঞ্জের ইউএনওকে বদলী করায় এ শুণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলায় এ্যাসিল্যান্ডকে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র কাজকর্ম চালানো হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে পীরগঞ্জবাসী।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২২ জুন ইউএনও মেজবাউল হোসেন (১৭০৫১) পীরগঞ্জে যোগদান করেন। তার স্ত্রী ওয়াহিদা খানম (১৭২৩৬) দিনাজপুরের ঘোরাঘাটের ইউএনও। যিনি নিজ বাসভবনে সম্প্রতি দূর্বৃত্তের হামলার শিকার হন।
এর ফলে পীরগঞ্জে যোগদানের ৯৫ দিনের মাথায় গত ১২ সেপ্টেম্বর তাকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে বদলী করা হয়। এতে করে ১৯ দিন ধরে পীরগঞ্জে ইউএনও’র পদটি শুন্য রয়েছে।
যদিও পরে ৪ ইউনিয়ন বিশিষ্ট ঘোড়াঘাটে ইউএনও দেয়া হলেও ১৫ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা বিশিষ্ট পীরগঞ্জে অদ্যাবধি ইউএনও পদায়ন করা হয়নি।
এদিকে পীরগঞ্জের এ্যাসিল্যান্ডকে দিয়ে ইউএনও’র কার্যক্রম চালানোর কারণে সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন মানুষ। অফিসপাড়ায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। এদিকে প্রতিদিনই জমির খাজনা, খারিজ ও নামজারীতেও মানুষজন ভোগান্তিতে পড়ায় জমি ক্রয়-বিক্রয়েও সমস্যা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও এ্যাসিল্যান্ড আফতাবুজ্জামান বলেন, এ্যাসিল্যান্ড অফিসেই প্রায় ১০টি পদ শুন্য। আবার ইউএনও’র কাজও আমাকে করতে হচ্ছে। ফলে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।
রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, পীরগঞ্জে ইউএনও’র ব্যাপারে আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়কে জানিয়েছি। পোস্টিং দিলেও পীরগঞ্জে ইউএনও দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বেগম ওয়াহিদা খানম পীরগঞ্জে বিগত ২০১৮ সালের ১৬ আগষ্ট থেকে ওই বছরের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৮৩ দিন ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জেএম/রাতদিন