গাইবান্ধায় শারীরিক নির্যাতনের পর ম্যাক্সিতে আগুন, গৃহবধূর মৃত্যু

গাইবান্ধায় শারীরিক নির্যাতনের পর ম্যাক্সিতে আগুন দিয়ে ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা দগ্ধ গৃহবধূ শারমিন বেগম (২১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।

শনিবার, ২৭ মার্চ সকালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৃহবধূর মামা শাহিন মিয়া। এর আগে শুক্রবার, ২৬ মার্চ রাত ১২টার দিকে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে মারা যান তিনি। বৃহস্পতিবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়।

গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ জানায়, স্বামী ও শাশুড়ির দেওয়া আগুনে শারমিনের শরীরের ৮৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শারমিনের বাবার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়নের কাবিলের বাজার এলাকায়। দুই বছর আগে একই এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে কোরবান আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় শারমিনের। এই দম্পতির দুই মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। নিহত গৃহবধূর বাবা শফিউল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির নামে মামলা করেন। এরপর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়। শ্বশুর ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরা তার ‘ডেথ বেড স্টেটমেন্ট’ নিয়েছেন। বক্তব্যে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার কথা জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাবিলের বাজার এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে শারমিন বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূর ম্যাক্সিতে আগুন দিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন স্বামী ও শাশুড়ি। এ ঘটনায় গৃহবধূর শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে য়ায়। ঝলসে যায় শরীরের বেশ কিছু অংশ।

রাতে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে একদিন থাকার পর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান।

এনএ/রাতদিন

মতামত দিন