লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা । শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। থমকে গেছে জীবনযাত্রা।
মাঝরাত থেকে সকাল ১০/১১ টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় চারিদিকের আকাশ ঢাকা থাকছে। কনকনে ঠান্ডা ও হাড় কাঁপানো হাওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার নিম্ন আয়ের মানুষ। একটু উষ্ণতার জন্য নিম্ন আয়ের মানুষেরা বাড়িতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
কয়েকদিনের প্রচন্ড শীতে শীতবস্ত্রের বেচাকেনাও বেড়েছে। সোমবার, ৩১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টা পযর্ন্ত লালমনিরহাট – বুড়িমারী মহাসড়কে হেডলাইড জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের বাসিন্দা আতিয়ার রহমান (৬২) বলেন, মুই (আমি) গরিব মানসি (মানুষ) অসুস্থ শরীর ধরি মানসির কাজ করির নাগে (লাগে)। বেশি শীতের কারণে মানসির ( মানুষের) কাজে যাও নাই। ঠান্ডা দূর করার জইন্যে আগুন পোহাংছে (পোহাচ্ছি)।
একই ইউনিয়নের তবুল হোসেন জানান (৬৪), গরীব মানসির ( মানুষের) আবার শীত আছে বাহে। শীতের মধ্যেও কাজ করির লাগে। কাজ না করিলে খাইম (খাব) কী। সংসার দেখার তো আর কাও (কেউ) নাই।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, রোববার কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস ।
আরও দু- এক দিন এ রকম থাকবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।