টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তিন বছর আগে নির্মিত টিনশেডের একটি মসজিদ ভেঙে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, বহুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিমের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে টিনের তৈরি একটি মসজিদ ভেঙে নিয়ে গেছেন তিনি।
গত ১১ নভেম্বর ওই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া সেলিম পরাজিত হন। এতে বিজয়ী হন বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলম মুক্তা। গোলাম কিবরিয়া সেলিম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিনের ছেলে।
নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মসজিদ ভেঙে নেওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৬ সালে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে গোলাম কিবরিয়া সেলিম নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের দিকে ওই ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে টিন দিয়ে একটি মসজিদ তৈরি করেন চেয়ারম্যান। গত ১১ নভেম্বর নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলম মুক্তার কাছে হেরে যান। হেরে যাওয়ার ক্ষোভে গত মঙ্গলবার তিনি টিনের তৈরি মসজিদটি ভেঙে ট্রাকে করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।
মসজিদের পাশের বাসিন্দা সরোয়ার আলম বলেন, মসজিদটি ভেঙে নেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এতে ইউনিয়নবাসীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি কাজটি ভালো করেননি। ওই স্থানে আমরা গ্রামবাসী মিলে একটি পাকা মসজিদ স্থাপন করব।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরে আলম বলেন, বিজয়ী হওয়ার পর আমি এখনো শপথ নেইনি। ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের ওয়াকফ করা জমিতে যেহেতু এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল অতএব ওই মসজিদ ভেঙে নেওয়ার অধিকার ওই চেয়ারম্যান সাহেবের নেই। আমরা ওই স্থানে একটি পাকা মসজিদ নির্মাণ করব।
জানতে চাইলে গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, আমার খালাতো ভাই ইব্রাহিম হোসেনের ব্যক্তিগত টাকায় ওই নামাজখানাটি টিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। গত কয়েক মাস ধরে ওই স্থানে কেউ নামাজ আদায় করছেন না। খালাতো ভাইয়ের অনুমতি নিয়েই ওই নামাজখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, নামাজখানা হলেও তিনি তা ভেঙে নিয়ে যেতে পারেন না। কাজটি তিনি ভালো করেননি। এ ধরনের কাজ ইসলাম সমর্থন করে না।