চারদিকে পানি। পানিতে মাথা উঁচিয়ে ভাসছে একেকটি নানা রঙের সবজি ক্ষেত। লালশাক, পাটশাক, লাউ, ঢেঁড়স, বরবটি, গিমাকলমি। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন নদীর পানিতে ভেসে এসেছে এগুলো।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের নতুন অনন্তপুর কৃষি ব্লকের কামারপাড়া গ্রামের দৃশ্য এটি। সেখানে ব্রহ্মপূত্র নদের শাখায় (দুধকুমার কোলা) ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ করা হচ্ছে। যা এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। অনেকটা পরিত্যক্ত এ স্থানে সবজি চাষ করতে পেরে কৃষকরাও খুশি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কচুরীপানাসহ জলজ আগাছা স্তÍুপীকৃত করে বেড তৈরির মাধ্যমে সবজি চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সবজির ভাসমান ক্ষেতগুলো ডালপাল মেলে ছড়িয়ে পড়েছে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, কৃষি বিভাগের সহায়তায় ছয়জন কৃষকের প্রত্যেকে চারটি করে মোট ২৪টি ভাসমান বেডে নানা ধরণের সবজি চাষ করেছেন। আর এসব চাষাবাদে প্রয়োগ করা হয়নি কীটনাশক। রাসায়নিক সার ছাড়াই সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে উৎপাদিত এ সবজি খেতেও খুব সুস্বাদু।
সবজি চাষি নুর আমিন বলেন, ‘কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় পরিত্যক্ত এ জায়গায় ভাসমান বেডে সবজি চাষ করছি। আশা করছি সবজি বিক্রি করে আর্থিক লাভবান হবো।’
তিনিসহ আরও কয়েকজন জানান, ভাসমান সবজি চাষ আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে তাদের সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করছেন ওই বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সায়িদুর রহমান।
জানা গেছে, কামারপাড়া ছাড়াও উপজেলার দড়িকিশোরপুর, শুকদেব, তবকপুরসহ কয়েকটি এলাকায় ভাসমান পদ্ধতিতে লতা জাতীয় ও লতাবিহীন সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের আওতায় ভাসমান বেডে সবজি চাষ করা হচ্ছে।
এবি/রাতদিন