আসছে ভারতীয় চা পাতা, হুমকির মুখে ক্ষুদ্র চা চাষীরা

সংগৃহীত ছবি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে ভারতীয় চা পাতা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। অবৈধ পথে আসা ভারতীয় চা পাতার দাম বাংলাদেশী চা পাতার তুলনায় অনেক কম হওয়ায় স্থানীয় অনেক দোকানদার ও সাধারণ ক্রেতারা বাংলাদেশী চা পাতা না কিনে ভারতীয় চা পাতা কিনছে।

ফলে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব অন্যদিকে ক্ষুদ্র চা চাষীরা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। ভারত থেকে অবৈধ ভাবে আসা ওই চা পাতা প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

বৃস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুড়িমারী জিরোপয়েন্ট, পাটগ্রাম ও বাউরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় চা পাতা তৃপ্তি , সোনাল, গ্রীণ ফ্রেশ সহ বিভিন্ন নামের চা পাতা। এসব চা পাতা ১ কেজি  বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। আর বাংলাদেশী ৫০০ গ্রাম চা পাতা বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুন দামে ২১০ টাকা থেকে ২২০ টাকা।

স্থানীয় বাউরা রেলষ্টেশনের চায়ের দোকানদার মো. দুলাল হোসেন ও জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশী চা পাতার দাম ভারতীয় চা পাতার চেয়ে দ্বিগুন। এর ফলে ভারতীয় চা পাতার দাম তুলনা মূলক অনেক কম থাকার কারনে অনেক চায়ের দোকানদাররা ভারতীয় চা পাতা ব্যবহার করছে।’

এ বিষয়ে লালমনিরহাট চা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফ খান বলেন, ‘ভারতীয় চা পাতা অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে ক্ষুদ্র চা চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ কারণে তাদের কঁচি চা পাতা কম দামে বিক্রি করতে হবে। কারণ তারা সবুজ কঁচি চা পাতা কোম্পানির নিকট বিক্রি করে। তাছাড়া রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।’

পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, ‘ভারতীয়  চা পাতা অবৈধভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসায় চলতি অক্টোবর মাসে ২০৯০ কেজি ভারতীয় চা পাতা সহ পাঁচজন গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  অবৈধ পণ্য ভারত থেকে যাতে বাংলাদেশ প্রবেশ করতে না পারে এ কারণে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চঃদাঃ) সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, ‘ভারতীয় চা পাতা কোন ক্রমে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।’

এনএইচ/রাতদিন