কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড, শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দরিদ্ররা

কুড়িগ্রামে আজ শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ দিন সকাল ৯টায় জেলার রাজারহাটের কৃষি ও সিনপটিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। ফলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি ও সিনপটিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।

শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এবার আবহাওয়ায় কিছুটা বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত দুইদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে  থাকলেও ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে যাচ্ছে। আকাশে মেঘ না থাকায় সকালে দেখা যাচ্ছে সূর্যের মুখ। দিনভর পাওয়া যাচ্ছে আলো। ফলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠছে। তবে উত্তর দিক থেকে হিমেল হাওয়া বয়ে আসায় সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে বেশি।

এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নদ-নদী মধ্যবর্তী দ্বীপচর ও তীরবর্তী চর গ্রামের মানুষ। এসব এলাকায় বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষ অতিদরিদ্র হওয়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী শীতবস্ত্রও কিনতে পারছে না।

ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও গঙ্গাধর নদ-নদী বেষ্টিত সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার জানান, তার ইউনিয়নের ৩২টি গ্রামের মধ্যে ২০টি হচ্ছে দ্বীপচর ও নদ-নদী তীরবর্তী চরগ্রামে। এই দ্বীপচর ও তীরবর্তী চর গ্রামগুলোতে বসবাস করেন প্রায় আড়াই হাজার পরিবারের ১৫ হাজারের মতো মানুষ। এদের অধিকাংশ অতিদরিদ্র এবং দিনমজুর। অনেকের শীত বস্ত্র কেনার সামর্থ্যও নেই।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলার নয় উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়ন এবং তিনটি পৌরসভার প্রত্যেকটিতে ৪৬০টি করে ৩৫ হাজারের মতো কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া নয় উপজেলার প্রত্যেকটিতে ছয় লাখ করে ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ টাকায় স্থানীয়ভাবে শীতবস্ত্র কিনে বিতরণের কার্যক্রম চলছে।

তিনি আরও জানান, অতিদরিদ্র শীতার্ত মানুষের দোরগোড়ায় শীতবস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলো সচেষ্ট আছে।

এবি/রাতদিন