রংপুর গংগাচড়ায় উপজেলায় দিন-দুপুরে রমরমিয়ে মাদকের ব্যবসা চলছে। এই ফেন্সিডিলে আসক্ত হচ্ছে যুব, কিশোর, স্কুল-কলেজের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। উপজেলা চত্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় চোখে পড়ছে ফেন্সিডিলের খালি বোতল।
উপজেলার গজঘন্টা চৌদ্দমাথা, জমচওড়া, গাওছোয়া বাজার, ভরসার বাজার, হাজী বাজার, বাগেরহাট, মন্ডলেরহাট, শয়রাবাড়ী, নেংড়া বাজার, চন্দনেরহাটসহ ইউনিয়ন গুলোর বিভিন্ন জায়গায় সহজেই চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা।
বিগত দিনে উপজেলায় মাদক ব্যবসা তেমন একটা চোখে না পড়লেও বর্তমানে এটা ব্যোপকহারে বেড়ে গেছে। একরকম মাদকের আখড়ায় পরিনত হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন। গংগাচড়ার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে উপজেলায় মাদকের ব্যবসা বেড়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকার শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটছে মাদকের খোঁজে গংগাচড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পানের দোকানদার জানান, প্রতিদিনেই দুপুরের পর থেকে রাত প্রর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল যোগে গংগাচড়ায় আসেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। এদের বেশিরভাগই স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী। এরা মাথায় হেলমেট পড়ে আসেন, তাদেরকে চেনার উপায় থাকে না। এখন তো করোনার সময় তাই মাস্কও পড়ে থাকেন অনেক সময় তাই মুখ চেনা যায় না।
অটো চালক বাতেন বলেন, রংপুর নগরীর বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড় থেকে বিভিন্ন সময় ছয়-সাতজন করে অটোতে চড়ে গংগাচড়ায় আসেন। দশ-পনেরো মিনিট কোথায় যায় তা জানি না। আবার এসে চা-সিগারেট খেয়ে অন্য অটোতে চড়ে ব্যাংকের মোড়ের দিকে চলে যায এরকম দৃশ্য প্রায় সময়ে দেখা যায়।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-হাদী জানান, ‘উপজেলা আইন-শৃংঙ্খলা সভায় গংগাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুশান্ত কুমারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেসময় ওসি জানান, ‘ধরতে না পারলে কি করবো’। এই অফিসার যতদিন আছে মাদকের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ জানান, বিষয়টি শুনেছি, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে গংগাচড়া উপজেলাকে মাদক মুক্ত করা হবে।
এবিষয়ে জানতে গংগাচড়ার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
আসআই/রাতদিন