জমিদাতার ভুল স্বীকার ‘ভবিষ্যতে এমন কাজ হবে না’

কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ জবর-দখল করে রাখা টিনের বেড়া ২৪ দিন পর খুলে দিলেন প্রশাসন। এসময় খলিলুর রহমান নামে জমিদাতা ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিয়েছেন।

বুধবার, ২৭ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া অপসারণ করে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া পুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের আজিজুল হক মুন্সি তার পুত্র খলিলুর রহমানকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দানের শর্তে বিদ্যালয়ের নামে ৫০ শতক জমি দান করেন। বিদ্যালয়টি বেসরকারি থাকাকালীন ২০০১-০২ অর্থ বছরে সরকারিভাবে ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ আসলে কর্মরত শিক্ষক খলিলুর রহমান তাদেরই পার্শ্ববর্তী জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের দেখিয়ে দেন। জাতীয়করণ হওয়ার পর খলিলুর রহমান অবসরে গেলে ওই বিদ্যালয়টিতে নৈশপ্রহরী-কাম দপ্তরী পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় তিনি ওই বিদ্যালয়ের কমিটিতে দাতা সদস্য হিসেবে তার নাম দেওয়ার জন্য অনৈতিকভাবে চাপ দিতে থাকেন। এতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জমিদাতা ছাড়া বাইরের কাউকে দাতা সদস্য করার নিয়ম নাই বলে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩ নভেম্বর বিদ্যালয়ের জায়গা নিজের দাবি করে টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।

এরই প্রেক্ষিতে বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া অপসারণ ও শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলের মাঠ উন্মুক্ত করে পাঠদান কার্যক্রম চালু করেন।

এ ব্যাপারে খলিলুর রহমান ভুল স্বীকার করে বলেন, ভবিষ্যতে এমন কাজ আর হবে না।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক শাহ বলেন, এখন বিদ্যালয়টিতে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের বলেন, বিদ্যালয়টিকে অন্যায়ভাবে জবর দখলের উদ্দেশে টিনের বেড়া ও তালা দিয়েছিল খলিল নামে ওই বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষক। তাকে দিয়ে ওই বেড়া অপসারণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না- মর্মে তিনি মুচলেকা দিয়েছেন।

এনএ/রাতদিন