লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুরের নদী তীরবর্তি এলাকার লোকজন সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই নতুন করে বন্যার আশংকা করছেন । ফলে এসব জেলার বিভিন্ন উপজেলার তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তি এলাকার মানুষ আতংকে রয়েছেন। অবিরাম বর্ষণের সাথে আজ বুধবার, ২৪ জুলাই সারাদিনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নদী দুটির পানি।
আজ বুধবার রাত নয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এর আগে সন্ধ্যা ছয়টায় ৪২ সেন্টিমিটার, বিকাল তিনটায় বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি প্রবাহিত হয়েছে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
এদিকে বিকালে জেলার শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যায় তা বেড়ে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নদী দুটির অব্যাহত এ পানিবৃদ্ধি এবং টানা বর্ষণে ১২ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফায় বন্যার আশংকা করছে লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা তীরবর্তি পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার মানুষ।
আজ বুধবার বিকাল থেকে নীলফামারী ও লালমনিরহাটের কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে প্রথম দফার বন্যা থেকে সপ্তাহখানেক আগে মুক্তি পেয়েছিল এসব জেলার বন্যা কবলিত মানুষগুলো।
এইচএ/রাতদিন