পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিচ্ছবি কী কাশ্মীর?

বিশেষ মর্যাদা হারানোর পর থেকেই ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের হাজার হাজার মানুষ তাদের নিজের বাড়ীতে রীতিমত বন্দী। তাদের চলাচল নিয়ন্ত্রিত। জারী রয়েছে কারফিউ।

“পুরো উপত্যকা এখন একটি কারাগারের মতো”  শ্রীনগরের এক ওষুধের দোকানদার কাশ্মীর নিয়ে বলতে গিয়ে এমনটাই বলছিলেন। তথ্য বিবিসির।

এখন হাজার হাজার অতিরিক্ত সেনা সেখানকার রাস্তায়। মার্কেটগুলো, স্কুল কলেজ বন্ধ এবং চারজনের বেশি লোকের কোথাও সমবেত হওয়া নিষিদ্ধ, এমনকি স্থানীয় নেতারাও আটক হয়ে আছেন।

মূলত স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে বড় ধরণের প্রতিবাদ হতে পারে আশঙ্কা থেকেই এমন সব ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত সরকার।

“আমাদের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার পরিণতি হবে বিপজ্জনক,” অসিম আব্বাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি একথা বলেন।

তিনি বেশ জোড় দিয়ে বলেন, “এটা আমাদের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বকেই মনে করিয়ে দেয়”।

কাশ্মীরের অনেকেই বিশ্বাস করেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি কাশ্মীরের বাইরের মানুষদের সেখানে জমি কেনার অধিকার দিয়ে সেখানকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্যকেই পাল্টে দিতে চায়।

বিশেষ মর্যাদার মাধ্যমে কাশ্মীর সম্পদের মালিকানা ও মৌলিক অধিকারের বিষয়ে নিজেরাই নীতি প্রণয়ন করতে পারতো। এমনকি রাজ্যের বাইরের কারও সেখানে জমি কেনাও নিষিদ্ধ ছিলো।

কাশ্মীরীদের এমনকি নিজেদের সংবিধান, আলাদা পতাকা ও আইন প্রণয়নের স্বাধীনতা ছিলো। শুধু পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও যোগাযোগ ছিলো কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।

কিন্তু এখন সব পাল্টে গেছে কারণ বিজেপি মনে করছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে জম্মু কাশ্মীরের আর আলাদা মর্যাদার দরকার নেই।

“ভারত ফিরে যাও, কাশ্মীর আমাদের” এমন শ্লোগান হয়েছে সেখানে, যদিও কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই শ্লোগান ভবিষ্যতে আর একটি পশ্চিম তীরের আবহ তৈরী করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।