পাটগ্রামে নারীর ঝুলন্ত দেহ বাড়িতে, পালিয়েছে স্বামীসহ শশুর-শাশুড়ি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কদুর বাজার এলাকা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি চার সন্তানের জননী ছিলেন। লাকি বেগম (৩৫) নামের ওই নারী ওই এলাকার তবিবর রহমানের ছেলে ও পেশায় রাজমিস্ত্রি শাহিনের স্ত্রী।


নিহতের বাবা ও মা দাবি করেছেন, স্বামী ও শশুড় বাড়ির লোকজন মিলে নির্যাতন চালিয়ে লাকিকে হত্যার পর মরদেহ ঘরের ধর্নায় ঝুলিয়ে পালিয়েছে।

আজ শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।


জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর আগে লাকির সাথে বিয়ে হয়েছিল শাহিনের।
নিহতের বাবা আফতাব হোসেন ও মা মালেকা অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তাদের মেয়েকে মারপিট করতো শাহিন। এর আগে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ হয়েছিল।

তারা জানান, নির্যাতন সয্য করতে না পেরে সর্বশেষ মাস দুয়েক আগে বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন লাকি। তবে স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য সালিশের মাধ্যমে মিমাংসা করে লাকি বেগমকে তার স্বামীর বাড়িতে দিয়ে আসেন। এরপর থেকে নির্যাতন আরও বৃদ্ধি পায়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর সারাদিন ওই পরিবারে ঝগড়া হয়।

নিহতের বাবা-মা দাবি করেন, সারাদিন ঝসড়ার পর ওনদিন রাতে লাকিকে নির্যাতন করে হত্যার পর মরদেহ ঝুঁলিয়ে রেখে তার স্বামী, শশুর ও শাশুড়ী পালিয়ে গেছে।

লাকি বেগমের ষষ্ঠ শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে জানায়, আগেরদিন রাতে বাবা- মায়ের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয়। সকালে মাকে ঝুঁলানো অবস্থায় দেখি।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই পরিবারে বিভিন্ন সময়ে ঝসড়াঝাটি হতো। শাহিন বটি, ছুঁড়ি নিয়ে লাকিকে প্রায় ধাওয়া করতো। লাকি অনেক নির্যাতন সহ্য করে সংসার করছে তাই সে আতœহত্যা করার কথা নয়।

পাটগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাফিজুল ইসলাম হাফিজ জানান, নিহতের বাবা বাদি হয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছে। এটি আতœহত্যা না হত্যা সেটা জানা যাবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর।

এইচএ/রাতদিন