ভোগান্তি কমাতে আসছে ই-পাসপোর্ট,উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ই-পাসপোর্ট গ্রাহকদের মাঝে বিতরণ করতে পারে নি পাসপোর্ট অধিদফতর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টকে (এমআরপি) সরিয়ে নাগরিক ভোগান্তি কমাতে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

পাসপোর্ট অধিদফতরের দাবি, ই-পাসপোর্ট দেওয়া নিয়ে আর কোনো জটিলতা নেই। চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। ওইদিন থেকেই নাগরিকের হাতে তুলে দেওয়া হবে ই-পাসপোর্ট।

পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। আশা করি চলতি বছরেই মানুষের হাতে ই পাসপোর্ট তুলে দিবে পারব। ১ ডিসেম্বরকে উদ্বোধনের তারিখ ধরে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

সূত্র বলছে, দেশে বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের চাহিদা রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে চার হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ই-পাসপোর্ট প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এ লক্ষ্যে গত বছরের জুলাইয়ে জার্মান কোম্পানি ভেরিডোসের সঙ্গে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্ট পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর কথা থাকলেও এরই মধ্যে কয়েক দফা সময় বাড়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অত্যাধুনিক এই ই-পাসপোর্ট বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে একটি এমবেডেড ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর (মোবাইলের মেমোরি কার্ডের মতো) চিপ থাকবে। এই মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি) তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া ই-পাসপোর্টে মোট ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।

এন এ/রাতদিন