গৃহপরিচারিকার সন্ধানে রংপুরে এসে লাশ হলেন রাজধানীর ব্যবসায়ী ও আরবান হেলথ কেয়ারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার তোশারফ হোসেন পপি। গত ১১ জানুয়ারি কাজের মেয়ের সন্ধানে রংপুর আসেন ওই ব্যবসায়ী।
অপহরণের ৯ দিন পর রোববার, ১৯ জানুয়ারি সকালে পুলিশ বদরগঞ্জের শ্যামপুর এলাকার নন্দনপুর গ্রাম থেকে মাটিচাপা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।
গত ১১ জানুয়ারি নিহত তোশারফের পূর্ব পরিচিত পুলিশ কনস্টেবল রবিউল ইসলাম তাকে অপহরণ করে গুম করেছিল। কাজের মেয়ের সন্ধান দেয়ার জন্য কনস্টেবল রবিউল ওই ব্যবসায়িকে রংপুর আসতে বলেন।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রংপুর কোতয়ালী থানায় ব্যবসায়ীর ছোট বোন সাজিয়া আফরিন ডলি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার সূত্র ধরে মোবাইল ট্র্যাকিং করে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল রবিউলকে শুক্রবার রাতে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার দুলাভাই সাইফুল ও তাদের বাসার কাজের ছেলে বিপুলকে গ্রেপ্তার করে।
এ সংক্রান্ত আগের খবর
গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্য মতে রোববার সকালে বদরগঞ্জের শ্যামপুর এলাকায় রবিউলের বড় বোন লাবণী আক্তারের বাড়ির পাশে একটি আখ ক্ষেত থেকে অপহৃত তোশারফ হোসেন পপির লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরপিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লাহ কাওছার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লাহ কাওছার জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে আর্থিক লেনদেন ও কাজের মেয়ের বিষয় নিয়ে বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
জেএম/রাতদিন