সপ্তাহ না যেতেই আবারও উত্তাল তিস্তা, পানিবন্দি ১০ হাজার পরিবার

চলতি বছরে গত ২১ জুন প্রথমবারের মতো তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে। এর পাঁচদিনের মাথায় ফের তিস্তার পানি বেড়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

শুক্রবার, ২৬ জুন দুপুর ১২টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপরে।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৪ ঘণ্টার ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে গত শনিবার তিস্তার ও ধরলার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এক সপ্তাহে না যেতেই ফের উজানের তিস্তার পানি প্রবাহ বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আলম বলেন, ‘কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধার ১০ টি ইউনিয়ন তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের তালিকা করে ত্রাণ দেওয়া হবে।’

তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ সকাল থেকে বাড়ছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।’