সৈয়দপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় পঁচানালা খালের দুইপাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ খালের দুইপাশের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর উপজেলায় পঁচানালা খালের দুইপাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার। এর আগে নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান উচ্ছেদ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

সারাদেশে একযোগে নদ-নদী, খাল, জলায়শসহ অন্যান্য সরকারি জলাধার তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা ও দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। ওই উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে নীলফামারীর সৈয়দপুরে পঁচানালা খালের দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা ও দখল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের প্রথমদিনে গতকাল সোমবার পঁচানালা খালের দুই পাশের ৭৬ টি মধ্যে ১০/১২টি অবৈধ স্থাপনা ও দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে।

জানা গেছে, সদর উপজেলার শহর ঘেঁষে রংপুর-বদরগঞ্জ পর্যন্ত গিয়ে চিকলী নদীতে মিশেছে দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ কিলোমিটার পচানালা খালটি। সেচ সংকট ও বর্ষার পানি নিষ্কাশনের জন্য মূলতঃ খালটি খনন করা হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ থেকে পচানাল খালের পাড়ে অবৈধ স্থাপনা ৮৪টি গড়ে উঠেছে। যার ফলে  খালের জায়গায় দখল করে কাঁচা,আধাপাকা ও পাকা অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। তন্মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলার অংশে ৭৬টি এবং রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার অংশে ৮টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে।

এদিকে, গতকাল সোমবার থেকে গোটা দেশে একযোগে নদ-নদী, খাল, জলায়শসহ অন্যান্য সরকারি জলাধার তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা ও দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে পঁচানালা খালের দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা ও দখল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মির্জা মুরাদ হাসান, সৈয়দপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম,  উপ-সহকারী প্রকৌশলী,শাখা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সৈয়দপুর থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

এনএ/রাতদিন