লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আকবর আলী ওরফে ধনী (৮০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দড়ি দিয়ে বেধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ছেলের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ তুলে তার উপর এই অমানবিক নিযাতন চালানো হয়।
শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের জাওরানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও গত বছরের ১৬ মে ওই চেয়ারম্যানের বাড়িতে এক যুবুককে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের পর ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়।
নির্যাতনের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনী উত্তর জাওরানী গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া তিনি ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। আর অভিযুক্ত মহির উদ্দিন ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
জানাগেছে, ছেলের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ তুলে গ্রাম পুলিশ দিয়ে নিজ বাড়ি থেকে জোড় করে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় চেয়ারম্যানের বাড়িতে। এরপর চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশ মিলে জোড়পূর্বক ওই মুক্তিযোদ্ধাকে চেয়ারের সাথে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে রাখেন। এরপর চলে নির্যাতন।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনী বলেন, আমার ছেলে নাকি গরু চুরি করেছে। এমন অভিযোগ তুলে আমার বাড়িতে এসে চেয়ারম্যান ও চৌকিদার জোর পূর্বক আমাকে তুলে নিয়ে যায় চেয়ারম্যানের বাড়িতে। কোন কিছু না বলেই চেয়ারে বসিয়ে দড়ি দিয়ে হাত বেধে ফেলে। আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে থাকি বলেই হাউমাউ করে কান্না শুরু করেন তিনি। চোখের জল মুচতে মুচতে তিনি শুধু একটাই কথা বলেন দেশ স্বাধীন করে শেষ বয়সে আমি এই পেলাম। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাকে কোন মারধর করা হয়নি। তার ছেলে গরু চোর সে জন্য তাকে ডাকা হয়েছিলো।
আপনি পরিষদ বাদ দিয়ে নিজ বাড়িতে বিচার সালিশ করে কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তার কোন সদুত্তোর মেলেনি। এর আগেও আপনার ওই বাসায় এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের পর ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টা করেন এমন প্রশ্ন করা হলে তারও কোন উত্তর দেননি তিনি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।