হাতীবান্ধায় ৪ লাখ টাকার ড্রেন ধ্বসে পড়লো ৬ মাসে

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নির্মানের ৬ মাস না জেতেই ধসে পড়েছে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় বাস্তবায়িত পানি নিস্কাশনের জন্য নির্মিত জনগুরুত্বর্পূণ একটি ড্রেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যাবহার করায় অকালেই ড্রেনটি ভেঙ্গে পড়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয় লোকজন।

জানাগেছে, হাতীবান্ধা বন্দরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার জন্য রেলওয়ে প্লাটফর্মের পুর্ব পাশে ৭৭ মিটারের ওই ড্রেনটি সম্প্রতি নির্মাণ করা হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি) এর আওতায় কাজটি বাস্তবায়ন করেন উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও সিংগিমারী ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, জনগুরুত্বর্পূণ বিবেচনায় এলজিএসপি-৩ এর আওতায় ৪ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ড্রেনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কাজটির প্রকল্প চেয়ারম্যান ছিলেন সিংগিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওর্য়াড সদস্য মজিবর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ড্রেনটি নির্মান করা হয়। কিন্ত ৬ মাস না যেতেই গত সোমবার সামান্য বৃষ্টির পানিতে ড্রেনটির প্রায় ৪০মিটার ধসে পড়েছে। নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এলাকা বাসির দাবি, দ্রæত ড্রেনটি মেরামত করা না হলে আসছে বর্ষায় হাতীবান্ধা বন্দরসহ রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকায় আবারও জলাবন্ধতা ব্যাপক আকার ধারন করবে।

নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ভিত্তিহীন দাবী করে প্রকল্প চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য মজিবর রহমান জানান, আবহওয়া ভালো হলেই ড্রেনের ধসে যাওয়া অংশটি মেরামত কারা হবে।

সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু জানান, সম্প্রতি ঘন বৃষ্টির কারনে কারণে ড্রেনটি ভেঙ্গে গেছে। সমস্যা নেই, ওই প্রজেক্টের জামানতের টাক এখনো জমা আছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে তারা ড্রেনটি মেরামত করে দিবেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেএম/রাতদিন