কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা না মেলায় উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার মাত্রা। কনকনে শীতের মধ্যে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিকে, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা আরও দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত চলতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
কনকনে শীত ও ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষি শ্রমিকরা। বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকনে ঠান্ডায় শ্রমিকরা ঠিকমতো মাঠে কাজ করতে পারছেন না। এতে ব্যাহত হয়ে পড়েছে বোরো আবাদ।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে জেলার শীতার্তদের মাঝে ৬৫ লাখ টাকা, ৩৫ হাজার কম্বল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও বেসরকারিভাবে ১০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কলেজ মোড় এলাকার মিনা বলেন, আমরা দিন আনি দিন খাই। এত ঠান্ডা না কোনো চেয়ারম্যান, মেম্বার একটা কম্বলও দেইনি।
ওই ইউনিয়নের মিলেরপাড় গ্রামের কৃষি শ্রমিক মন্টু মিয়া জানান, এত ঠান্ডায় মানুষ তো বিছানা থেকে ওঠে নাই, আর আমরা কাজের জন্য মাঠে যাচ্ছি। কাদা পানিতে নেমে কাজ করলে হাত পা বরফ হয়ে যায়। কী আর করার? কাজ না করলে সংসার চলবে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
এনএ/রাতদিন