ধর্ষণের শিকার ‘মেয়ের’ আত্নহত্যা, মায়ের মামলায় ‘বাবা’ গ্রেপ্তার

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকায় বছর খানেক আগে আত্মহত্যা করা এক কিশোরীর ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ফলে পুলিশ ধারণা করছে, ওই কিশোরী তার সৎ বাবার কাছে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে আত্মহত্যা করে।

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর এ ঘটনায় ওই কিশোরীর সৎ বাবা ইয়াকুব আলীকে গ্রেপ্তার করে পাটগ্রাম থানা পুলিশ। সোমবার, ২৯ এপ্রিল বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে।

এর আগে গত রোবার, ২৮ এপ্রিল মেয়েটির মা বাদি হয়ে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে অজ্ঞাতদের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকার বাসিন্দা ইয়াকুব আলী মিনু বেগম নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। ওই নারীর আগের সংসারের দুই মেয়ে ছিল। বিয়ের পর অবশ্য তার বড় মেয়েকে বিয়ে দেন তিনি। গত বছরের ২০ এপ্রিল রাতে পারিবারিক কলহের জেরে মিনু বেগমকে মারধর করে ইয়াকুব। ফলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফিরে দেখতে পান পাশের ঘরে থাকা তার ছোট মেয়েটি (১৬) কান্নাকাটি করছিল। পরে মায়ের অজান্তে কিশোরী মেয়েটি আত্নহত্যার চেষ্টা করে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই সে মারা যায়।

পরে রংপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় সেসময় কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা উল্লেখ করেন, মেয়েটি বিষপানের পৃর্বে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। গত শনিবার, ২৭ এপ্রিল পাটগ্রাম থানায় এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আসার পর ইয়াকুব আলী ও মা মিনু বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে ইয়াকুব আলীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পাটগ্রাম থানার ওসি মনছুর আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মিনু বেগমের মামলায় ইয়াকুব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এবি/রাতদিন