লালমনিরহাটের পাটগ্রামে চাঁদা না দিয়ে ধরলা নদী থেকে নুড়ি পাথর উত্তোলন করায় এক পাথর শ্রমিককে (২৮) রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পাথর উত্তোলনের জন্য ওই শ্রমিকের কাছে ৫০ টাকা চাঁদা দাবী করা হয়েছিলো।
আজ বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে।
নিহত ওই পাথর শ্রমিকের নাম মজনু হোসেন (২৮)। তিনি উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ধবলসুতি মাঝিপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের ধবলসুতি মাঝিপাড়া এলাকার আলতাব হোসেনের ছেলে দিনমজুর মজনু হোসেন ধরলা নদী থেকে নুড়ি পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। পাথর উত্তোলনের সময় প্রতিদিন একই এলাকার সাহাজ উদ্দিন (সাদ্দিন)কে নৌকা প্রতি ৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হতো।
আজ সকালে মজনু চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে সাহাজ উদ্দিন (সাদ্দিন) ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই পানিতে লুটিয়ে পড়েন মজনু।
প্রতিবেশী রাসেল, মোহাম্মদ ও সাহাজ উদ্দিনের ছোট ভাই মোজাম্মেল হক মজনুকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাদেরকে সাহাজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম তাদেরকেও লাঞ্চিত করে।
এ বিষয়ে সাহাজ উদ্দিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার ছোট ভাই মোজাম্মেল হক বলেন, আমার ভাই অত্যন্ত নির্দয়ভাবে লোহার রড দিয়ে মজনুকে আঘাত করে। এতে মজনু গুরুতর অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।