রংপুরে ‘অস্বাভাবিক জরিমানা’র প্রতিবাদে খাবার দোকানের ধর্মঘট প্রত্যাহার

চলতি রমজানে রংপুর নগরীর কয়েকটি খাবার হোটেল ও বেকারীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার কারনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়িরা। অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কয়েক লাখ টাকা জরিমান করা হয়। সেই জরিমানাকে ‘অস্বাভাবিক’ দাবী করে আজ, ২৬ মে থেকে রংপুর নগরীর সকল হোটেল, রেস্তোরা, বেকারী, চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট, ফাস্ট ফুড ও মিষ্টির দোকান অনির্দিষ্টকালের বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে এদিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে

রংপুর জেলা রেস্তোরা মালিক সমিতি ও বেকারী মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ২৪ মে এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩ মে নগরীর জুম্মাপাড়ার মিঠু হোটেলকে ২ লাখ, জলকর এলাকার ফুলকলি ব্রেড এন্ড কনফেনারীকে ৩ লাখ, এভরিডে ফুড প্রোডাক্টসকে ১ লাখ ও সোনালী বেকারীকে ৩ লাখ টাক জরিমানা করা হয়।

এতে বলা হয়, প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ব্যাংক ঋণ ও মহাজনের দেনার দায়ে জর্জরিত। এর ওপর যদি এভাবে অমানবিক ও অস্বাভাবিক হারে জরিমানা করা হয় তাহলে ব্যবসায়িরা ধ্বংস হয়ে যাবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবী করা হয়, ‘হোটেল রেস্তোরা ও বেকারী ব্যবসায় ভেজাল দেয়ার কিছু নেই। আমরা কাচামাল ক্রয় শেষে খাদ্য প্রস্তুত করে বিক্রি করে থাকি। এতে ক্ষতিকর রং বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার হয় না।’

সঠিক বিচার প্রত্যাশা করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রশ্ন তোলা হয়, ‘ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অনুমাননির্ভর জাজমেন্ট কতটুকু ন্যায়সংগত তা বিচার্য বিষয়। ল্যাবটেস্ট ছাড়া কাউকে অভিযুক্ত করা কতটুকু যুক্তিসংগত বা ন্যায়সংগত?’

বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি, রংপুর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মজিদ খোকন ও বাংলাদেশ ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরী মালিক সমিতি, রংপুর জেলা শাখার সভাপতি নুরুল হক মুন্না স্বাক্ষরিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’