লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে হত্যার শিকার আবু ইউনুছ মো. সহিদুন্নবী জুয়েলের (৫০) পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর। তিনি নিহতের মেয়ে জেবা তাসনিয়ার হাতে ২০ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দিয়েছেন।
আজ রোববার, ৮ নভেম্বর দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই অনুদান প্রদান করা হয়। এ সময় সেখানে ছিলেন জুয়েলের বড় ভাই আবু ইউসুব মো. তওহিদুন্নবী।
পরে জেবা তাসনিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবাকে যারা এভাবে হত্যা করেছে তাদের দ্রুত বিচার চাই। শুধু অনুদান নয়, বাবার হত্যাকারীদের বিচার চাইতেই লালমনিরহাটে এসেছি আমি’।
আবু ইউসুব মো. তওহিদুন্নবী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বিশ্বাস ন্যায় বিচার পাবো। ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় রয়েছি।
রংপুর নগরীরর শালবন মিস্ত্রিপাড়ার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ছিলেন জুয়েল। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান।
কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে গত ২৯ অক্টোবর বুড়িমারীতে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়ে জুয়েলকে। এ ঘটনার পর নিহতের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম, পুলিশ ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় পৃথক তিনটি মামলা করেন। এ ঘটনায় আজ রোববার পর্যন্ত ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে বুড়িমারী কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ তিনজন দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরআই/রাতদিন