আহাম্মদ শরিফ নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে শুধু তার স্ত্রী নয়, অভিযোগ আনা হয়েছে ছেলে-মেয়ে, শ্যালক ও ভায়রা বিরুদ্ধেও।
আহাম্মদ শরিফের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামে। গত শনিবার, ২০ জুন তিনি হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ওই ব্যবসায়ী তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম, ছেলে আহসান হাব্বি মোজাহিদ, মেয়ে আসমাইল হুসনা সোনিয়া, শ্যালক আব্দুস ছালাম রোকন ও ভায়রা কোরবান আলীর নামে অভিযোগ এনে সেটি মামলা হিসাবে নতিভূক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন।
আহাম্মদ শরিফ দাবি করেন, বিয়ের পর থেকেই তার স্ত্রী নানা সময় শারীরিক নির্যাতন করে আসছেন। এমনকি নিজের নামে জোর করে জমিও লিখে নেওয়ার চেষ্টা করেন রোকেয়া। এ ঘটনায় সন্তান-স্বজনরাও স্ত্রীকে সহায়তা করেন। এ ঘটনায় গত ৫ মে আহাম্মদ শরিফকে আদালতের মাধ্যমে স্ত্রী রোকেয়া বেগম মায়াকে তালাক প্রদান করেন তিনি।
তবে আহাম্মদ শরিফের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তার রোকেয়া বেগম মায়া বলেন, আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চেয়েছিলেন। অনুমতি না দেয়ায় আমাকে নির্যাতন করেন ।
এর আগে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম মায়া বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় আহাম্মদ শরিফের বিরুদ্ধেও একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ইতোমধ্যে সহকারী পুলিশ সুপারসহ জমিন তদন্ত করেছি। অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবি/রাতদিন