কাশ্মীরে কার্ফু, মুখ্যমন্ত্রী গৃহবন্দি, সাইরেন-বুটের আওয়াজে প্রকম্পিত জনপদ

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। আতংকিত মানুষ ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। ভারী বুটের শব্দে যেন কেঁপে উঠছে পুরো উপত্যকা। মাঝে মধ্যে বেজে ওঠা সাইরেনের শব্দ ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন ভয়াবহতার।

রোববার, ৪ আগষ্ট রাত থেকে গৃহবন্দি করা হয়েছে বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতাকে । নিষিদ্ধ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ।

কয়েক দিনআগে ‘জঙ্গি হামলা’র কারণ দেখিয়ে কাশ্মীর ছাড়তে বলা হয় অমরনাথ তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের। আগের অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনার সঙ্গে আরও অতিরিক্ত ২৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার খবরে এই ব্যবস্থা, নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে সরকারের তা নিয়ে চলছে জল্পন-কল্পনা। কাশ্মীর থেকে ফেরানো হচ্ছে পর্যটকদের। এ অবস্থায় আতঙ্ক আরও বাড়ছে।

রোববার মধ্যরাতে হঠাৎ করেই গৃহবন্দি করা হয় দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাকে। হঠাৎ করে কেন এমন সিদ্ধান্ত সরকারের তা নিয়ে আরও জল্পনা-আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এরপরেই উপত্যকা জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা হয়েছে কার্ফু।

সোমবার সকাল থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে গোটা কাশ্মীরজুড়ে। এর পর থেকে শুনশান হয়ে গোটা কাশ্মীর। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, হঠাৎ করে কাশ্মীর এতটাই শান্ত হয়ে গিয়েছে এখন সেখানকার রাস্তায় একটা পিন পড়লেও শব্দ শোনা যাবে।

সকাল থেকে সেখানকার দোকানপাঠ সব বন্ধ। সেখানকার স্থানীয় মানুষকে রাস্তাতেই দেখা যাচ্ছে না। যতদূর চোখ যাচ্ছে শুধুই নজর পড়ছে নিরাপত্তারক্ষীদের।

অন্যদিকে, কার্ফু থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা শিক্ষার্থীদের নিরাপদ জায়গায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি, কলকাতা ২৪।

জেএম/রাতদিন